কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি:
মেয়েকে মারধর করার অপরাধে জামাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছেন শ্বশুর। এই মামলায় পুলিশ জামাইকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। এদিকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন শ্বশুর। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের পিড়ারবাড়ি গ্রামে।
জানাগেছে, গত দেড় বছর আগে পিড়ারবাড়ি গ্রামের ব্যবসায়ী বিপুল বিশ্বাসের ছেলে বিপ্র বিশ্বাস (২৪) প্রেমকরে একই গ্রামের নিখিল মল্লিকের মেয়ে অন্তু মল্লিক (২০) কে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকেই তাদের দু’জনার মাঝে সার্বক্ষণিক ভাবে বিরোধ চলে আসছিল।
এরই সূত্রধরে গত রবিবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিপ্র বিশ্বাস তার স্ত্রী অন্তু মল্লিককে মেরে গুরুতর আহত করে। উপয় পরিবারের বাড়ি একই এলাকায় হওয়ায় অন্তু মল্লিকের পরিবারের লোকজন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য এনে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় সোমবার (৬ অক্টোবর) অন্তু মল্লিকের পিতা নিখিল মল্লিক বাদী হয়ে কোটালীপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পরে পুলিশ বিপ্র বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
নিখিল মল্লিক বলেন, বিয়ের পর থেকেই বিপ্র ও তার পরিবারের লোকজন আমার মেয়েকে নানা ভাবে নির্যাতন করতেন। আমার জামাই বিপ্র একজন মাদকসেবনকারী। সে প্রায়ই আমার মেয়ের কাছে মাদবসেবনের জন্য টাকা চাইতো। টাকা না দিলেই বিপ্র আমার মেয়েকে মারধর করতো। তিনি আরো বলেন, সর্বশেষ ঘটনার রাতে বিপ্র মাদকসেবনের জন্য অন্তুর কাছে টাকা চাইলে সে টাকা দিতে না পারায় বিপ্র লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আমার মেয়েকে গুরুতর আহত করে। এ সময় বিপ্রর মা-বাবা আমার মেয়েকে রক্ষা না করে তারা মারধরে সহযোগিতা করে। এ ঘটনায় আমি মামলা দিয়ে পুলিশ বিপ্রকে গ্রেপ্তার করে। এখন বিপ্রর বাবা বিপুল বিশ্বাস মামলা তুলে নিতে আমাকে হুমকি দিচ্ছে।
এ বিষয়ে জানার জন্য ব্যবসায়ী বিপুল বিশ্বাসের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার স্ত্রী মিনু বিশ্বাস বলেন, আমার ছেলে বিপ্র তার নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করেছে। এই বিয়েতে আমাদের মতামত ছিল না। সে তার স্ত্রী অন্তুকে মারধর করেছে। এ ঘটনায় অন্তুর বাবা মামলা দিয়েছে। মামলার কারণে পুলিশ আমার ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে। এখন আদালতে যে বিচার হয় হবে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোটালীপাড়া থানার এসআই সিরাজুল ইসলাম বলেন, নিখিল মল্লিকের মামলায় শুধু একজনকে আসামী করা হয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা মামলার আসামী বিপ্রকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য যদি আসামী পক্ষ বাদীকে হুমকি দেয় তাহলে আমরা প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। সে ক্ষেত্রে বাদীকে আমাদেরকে লিখিত ভাবে জানাতে হবে। #