গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি :
করোনার মধ্যেও গোপালগঞ্জ বিসিক শিল্পনগরীর অর্থনীতির চাকা সচল রাখা হয়েছে। এ শিল্প নগরীতে খাদ্য পন্য ও কৃষি যন্ত্রপাতি উৎপাদন করা হচ্ছে।
এসব শিল্পে উৎপাদিত পন্য গোপালগঞ্জ সহ আশপাশের জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে ভোক্তা, শিল্প উদ্যোক্তা ও শ্রমিকরা উপকৃত হচ্ছেন। এছাড়া এ শিল্প নগরীর কিছু শিল্প করোনার মধ্যে বন্ধ রয়েছে। এসব শিল্পোদ্যোক্তারা শ্রমিক নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। বিসিক শিল্প মালিক সমিতি শিল্পে প্রণোদনা ও শ্রমিকদের জন্য রেশন চালুর দাবি জানিয়ছে।
গোপালগঞ্জ বিসিক শিল্প নগরী সূত্রে জানাগেছে, শহরের বিসিক শিল্প নগরীতে ৬৪ টি শিল্প ইউনিট রয়েছে। এসব কারখানায় ২ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। করোনার মধ্যে চালকল, মুড়ি মিল, বিস্কুট ফ্যাক্টরী, কৃষি যন্ত্রপাতি উৎপাদনকারী ৩৪ টি কারখানা চালু রয়েছে। ৩০ টি ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। খাদ্য উৎপাদনকারী কারখানায় প্রতিদিন ২০ টন মুড়ি, ৫ টন চাল, ২ টন সরিষার তেল, ১০ টন পারুটি, বিস্কুট, কেক, চানাচুর সহ বেকারী খাদ্য সামগ্রী, ৫ টন আটা, ময়দা, সুজি উৎপাদিত হচ্ছে। এছাড়া কৃষি যন্ত্রপাতি তৈরীর কারখানায় বিপুল পরিমান ধান মাড়াই কল সহ কৃষি যন্ত্রপাতি উৎপাদন করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য বিধি মেনে, সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে মাকস পড়ে ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে শ্রমিকরা এসব কারখানায় কাজ করছেন।
বিস্কুট ফ্যাক্টরীর শ্রমিক ফেরদৌস শেখ বলেন, এখানে কাজ করে পারিশ্রমিক পাচ্ছি । করোনা দুর্যোগের মধ্যে এ দিয়েই ভালভাবেই সংসার চলছে।
বেকার শ্রমিক রহমত আলী বলেন, করোনার পর থেকে আমাদের কারখানা বন্ধ। আমি পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে আছি। মালিক যা দিচ্ছে তাতে চলতে পারছিনা।
গোপালগঞ্জ বিসিক শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ মোশাররফ হোসেন বলেন, করোনা মহামারীর মধ্যে আমরা খাদ্য ও কৃষি পণ্য উৎপাদন করে অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছি। বেশ কিছু কারখানা বন্ধ থাকায় শিল্প উদ্যোক্তা ও শ্রমিকরা কষ্টে আছেন। আমাদের শিল্পে প্রণোদনা ও শ্রমিকদের জন্য রেশন চালু করার দাবি জানাচ্ছি । মালিক ও শ্রমিক বাঁচলে আমরা উৎপাদন বাড়িয়ে দেশের অর্থনীতিকে আরো গতিশীল করতে পারবো।
গোপালগঞ্জ বিসিক শিল্প নগরী কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে শিল্প নগরীতে উৎপাদন চলছে। মালিকদের সহযোগিতায় শ্রমিকরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করছেন। উদ্যোক্তারা উৎপাদিত খাদ্য ও কৃষি যন্ত্রপাতি বাজারজাত করছেন। এতে সাধারণ মানুষ খাদ্য পাচ্ছেন। কৃষক যন্ত্রপাতি পেয়ে কৃষি কাজ করতে পারছেন। এভাবে আমরা অর্থনীতিতে অবদান রাখছি। শিল্প মালিকদের প্রণোদনা দেয়ার ব্যাপারে আমরা উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
Leave a Reply