আঞ্চলিক প্রতিনিধি :
শেখার আছে অনেক কিছু। মানবিকতা আর মূল্যবোধে জায়গা থেকে যে কারো কাছ থেকেই যে শেখার আছে তা বুঝিয়ে দিয়েছে এই ছোট্ট শিশু। প্রতিটি সংসারে বাবা ও মা তাদের পরিবারের ছোট্ট শিশুকে হাসি-খুশি রাখতে সবসময় বিভিন্ন ধরনের শান্তনা দিয়ে রাখেন। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারী করোনা আক্রান্তের পর সবাইকে ছেড়ে যখন একাকি থাকতে হচ্ছে, তখনই অন্য এক ঘটনার জন্ম দিয়েছে ছোট্ট এক শিশু।
মুহুর্তের মধ্যে ইউটিউব চ্যানেলে ওই ছোট্ট শিশুর একটি ভিডিও বরিশালের সর্বত্র ভাইরাল হয়েছে। জানা গেছে, বরিশাল নগর পুলিশ (ডিবি) গোয়েন্দা শাখার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফিরোজ আলম মুন্সি করোনাকালে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিজেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে নিজ গৃহে শিশু সন্তানসহ সকলের কাছ থেকে দুরে কোয়ারেন্টিনে একাকি জীবন যাপন করছেন। গত ১৬ জুন সন্ধ্যায় ফিরোজ আলম প্রচন্ড জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি তারমধ্যে অন্যান্য উপসর্গ দেখা দেয়।
পরবর্তীতে গত ২০জুন তিনি নমুনা পরীক্ষা করানোর পর তার শরীরে করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়। তার সাথে স্ত্রী ও ছোট শিশু কন্যা বসবাস করলেও করোনা শনাক্ত হওয়ার পর নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে সবার কাছ থেকে আলাদা থাকছেন তিনি।
ফিরোজ আলম মুন্সির তার ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিও আপলোড করেন। ওই ভিডিওটিতে দেখা গেছে, তার ছোট্ট শিশু কন্যা দূর থেকে বাবাকে শান্তনা দিয়ে বলছে, বাবা তুমি ভালো ভালো খাবার খাও তুমি সুস্থ হয়ে যাবে। বেশি বেশি রঙ চা খাও সুস্থ হয়ে যাবে, রং চায়ে ভিটামিন সি থাকে।
ফিরোজ আলম মুন্সির সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বর্তমানে আমি কিছুটা সুস্থ আছি, করোনা শনাক্ত হওয়ার পর থেকে সমাজ ও পরিবারের স্বার্থে নিজেকে আলাদা করে রেখেছি। কিন্তু আমার ছোট বাচ্চা মেয়েকে কিভাবে বোঝাবো। ওর জন্য খুব কস্ট হচ্ছে। চোখের সামনে দেখি কিন্তু আগের মতো আদর করতে পারিনা। এরকম কস্ট আমি এর আগে কখোনো পাইনি।
সূত্রমতে, ফিরোজ আলম মুন্সি বিগতদিনে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় নাগরিক নিরাপত্তার তাগিদে মাঠপর্যায়ে করোনাকালের শুরু থেকেই নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
Leave a Reply