গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি :
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার খালের দু’ পাড়ে বসবাসকারী ১০ হাজার মানুষের চলাচলে কোন ব্রিজ নেই।
বেশ কয়েকটি বাঁশের সাঁকো দিয়েই কাশিয়ানী উপজেলার বিলবেষ্টিত নিজামকান্দি ইউনিয়নের ফলসি ও নিজামকান্দি গ্রামের মানুষের মধ্যে সেতু বন্ধ হয়েছে। এ সাঁকোর ওপর ভর করেই গ্রামের মানুষ বিলের জমিতে কৃষি কাজ করতে যান। সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা চলাচল করেন। ফলসি গ্রামের সাচ্চু মোল্লার বাড়ির সামনের খালের সঁাকো এ কাজে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। এ সাঁকো পার হতে গিয়ে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর ১০ মাস বয়সের একটি শিশু মায়ের কোল থেকে ছিটকে খালের পানিতে পড়ে মারা যায়। এছাড়া এ সাঁকো থেকে খালের পানিতে পড়ে ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী অনন্যা খানম মৃত্যু বরণ করে। ফলসী গ্রামবাসী ওই স্থানে একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
নিজামকান্দি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড মেম্বর মোঃ জাহিদুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ফলসী বাজার থেকে নিজামকান্দি পোষ্ট অফিস কাচা সড়কের ৩ কিলোমিটারের মধ্যে কোন ব্রিজ নেই। খালে একাধিক বাঁশের সাঁকো দিয়েই দু’ গ্রামের মানুষ এপার ওপার চলাচল করেন। এতে গ্রামের মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। ফলসী গ্রামের সাচ্চু মোল্লার বাড়ির সামনের খালের বাঁশের সাকো পার হতে গিয়ে এক শিশু ও এক স্কুলছাত্রী খালের পানিতে পড়ে মারাগেছে। এ সাঁকোটি গ্রামের মানুষ সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করেন। এখানে ব্রিজ নির্মাণ করা হলে গ্রামের সব শ্রেণি পেশার মানুষ উপকৃত হবে। আমি এখানে ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।
ফলসী গ্রামের ফরিদ আহম্মেদ মোল্লা বলেন, আমাদের গ্রামের কৃষকরে কয়েক হাজার বিঘা জমি ফলসি দক্ষিণ ডাঙ্গা বিলে। ওই বিলের জমিতে কাজ করতে অধিকাংশ কৃষক সাচ্চু মোল্লার বাড়ির সামনের খালের সঁাকো পার হন। বিলের জমিতে উৎপাদিত পন্য এ সাঁকো দিয়ে পারাপার করা হয়। এতে আমাদের কষ্টের শেষ নেই। সাঁকোর অপর পারে বেলায়েত সরদার তার জায়গা দিয়ে রাস্তা করে দিয়েছেন। সরকার এখানে একটি ব্রিজ করে দিলে আমাদের এ দুর্ভোগ লাঘব হবে।
ফলসি গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবু তালেব মোল্লা বলেন, সাচ্চু মোল্লার বাড়ির সামনে খালের ওপর ব্রীজ খুবই দরকার। এ ব্যাপারে আমি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে আবেদন করেছি। কিন্তু এখনো কোন কাজ হয়নি।
কাশিয়ানী উপজেলা প্রকৌশলী বাদল চন্দ্র কীর্ত্তনীয়া বলেন, ওই সড়কটি আমাদের। সড়কের মধ্যে কোন ব্রিজ হলে আমরা করে দিতে পারি। কিন্তু সড়কের বাম বা ডান পাশে ব্রিজের প্রয়োজন হলে আমরা দিতে পারিনা। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস এটি করে দিতে পারে বলে জানান ওই প্রকৌশলী।
কাশিয়ানী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিরান হোসেন মিয়া বলেন, আগামী আগষ্টে আমরা এ ব্যাপারে প্রকল্প করে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠাবো। উর্ধতন কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দিলেই এ ব্রিজ করা সম্ভব হবে।
Leave a Reply