গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি :
ইউএনওর হস্তক্ষেপে পৈত্রিক বসতভিটার অধিকার ফিরে পেল অসহায় পরিবার। কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদের হস্তক্ষেপে এ সম্পত্তি ফিরে পায় ভূক্তভোগী পরিবার।
জানা গেছে, উপজেলার ভাদুলিয়া গ্রামের ভ্যান চালক প্রভাষ বিশ্বাস পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া একমাত্র সম্বল ২৫ শতক বসতভিটায় বৃদ্ধা মা ও ভাইদের নিয়ে বসবাস করছে। কিন্তু ভূয়া ওয়ারিশ সনদের মাধ্যমে ওই সম্পত্তির কিছু অংশ নামজারি করে নেন প্রতিবেশি বংশীয় কাকা সমীর বিশ্বাস।
এক পর্যায় জমির বিক্রির জন্য ক্রেতা খেঁাজেন সমীর বিশ্বাস এবং জায়গার মালিকানা দাবি করে প্রভাষের পরিবারকে জায়গা ছেড়ে দিতে বলেন। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া একমাত্র সম্বল বসতভিটা; তাও হারিয়ে ফেলার শঙ্কা ভর করে পরিবারটি ওপর। চিন্তায় নিঘুর্ম চোখে রাত কাটে অসহায় পরিবারটির।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের দ্বারস্থ হলেও মেলেনি কোন প্রতিকার। কোন উপায় না দেখে কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন প্রভাষ। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউএনও সাব্বির আহমেদ উভয়পক্ষকে যার যার কাগজপত্র নিয়ে নিয়ে তঁার কার্যালয়ে আসতে বলেন। ইউএনও উভয়পক্ষের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে দেখে সম্পত্তির প্রকৃত মালিক প্রভাষ ও তার পরিবার। তিনি প্রভাষ বিশ্বাসের পরিবারকে দলিলের মাধ্যমে সম্পত্তি ফিরিয়ে দিতে অভিযুক্ত সমীরকে নির্দেশ। ইউএনওর নির্দেশ মোতাবেক গত ১৪ জুন প্রভাষের পরিবারকে দলিলের মাধ্যমে জায়গাটি বুঝিয়ে দেন অভিযুক্ত সমীর বিশ্বাস।
বসতভিটা ফিরে পেয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে প্রভাষের মা বেমালা বিশ্বাস (৭৫) ইউএনওর জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে কান্না ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, ‘টিএনও ছ্যার দ্যাবতা হয়ে আইছে। আমি ছ্যারের জন্যি ঈশ্বরের কাছে মঙ্গোল কামনা করি। তিনি অনেক দিন বাইচ্যে থাক।’
কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘আমি অভিযোগ পেয়ে উভয়পক্ষকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ শুনানীর জন্য নোটিশ করি। কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে প্রমাণিত হয় সম্পত্তির প্রকৃত দাবিদার প্রভাষের পরিবার। অভিযুক্ত সমীর বিশ্বাসকে প্রভাষের পরিবারের প্রাপ্য সম্পত্তি ফিরিয়ে দিতে নির্দেশ দেই।’
Leave a Reply