1. gourangodas6@gmail.com : Gourango Lal Das : Gourango Lal Das
  2. jmitsolutionbd@gmail.com : support :
কোটালীপাড়ায় ভাঙ্গারী ব্যবসায় ধস, তিন হাজার ফেরিওয়ালার দুর্দিন - কোটালীপাড়া নিউজ
শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৪৫ পূর্বাহ্ন
Title :
কোটালীপাড়ার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাজহার আল কবির খোকন কোটালীপাড়ায় শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা কোটালীপাড়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ  কোটালীপাড়ায় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয় করণের দাবিতে মানববন্ধন কোটালীপাড়ায় শারদীয় দুর্গা পূজা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বিষয়ক সভা গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সাথে কোটালীপাড়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের মতবিনিময় কোটালীপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন কোটালীপাড়ায় বিশ্ব মানব পাচার বিরোধী র‌্যালি সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদে কোটালীপাড়ায় বিক্ষোভ সমাবেশ কোটালীপাড়ায় কাফনের কাপড় মাথায় বেঁধে নেতা-কর্মীর শপথ

কোটালীপাড়ায় ভাঙ্গারী ব্যবসায় ধস, তিন হাজার ফেরিওয়ালার দুর্দিন

  • প্রকাশিত : সোমবার, ১ জুন, ২০২০
  • ৫০০ জন সংবাদটি পড়েছেন।

কোটালীপাড়া প্রতিনিধি :

করোনার মধ্যে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ভাঙ্গারী ব্যবসায় ধস নেমেছে। করোনা সংক্রমন শুরুর পর এ ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। মাহাজনরা বাড়ির পাশের খালে ব্যবসার কাজে ব্যবহৃত নৌকা নোঙ্গর করে রেখেছেন। এ ব্যবসার সাথে জড়িত ৫০ মহাজন ও ৩ হাজার ফেরিওয়ালা বেকার হয়ে পড়েছেন। পরিবার পরিজন নিয়ে তারা নিদারুন কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। মাহাজনদের কাছ থেকে সাড়ে ৭ কোটি টাকা দাদন নিয়েছেন ফেরিওয়ালারা। দাদনের টাকা ফেরিওয়ালারা সংসারের পেছনে খরচ করেছেন। এদিকে ভাঙ্গারী মহাজনরা ফেরিওয়ালাদের দাদন দিয়ে পুঁজি সংকটে পড়েছেন। এখন ফের ব্যবসা শুরু করতে মাহাজনরা সরকারের কাছে স্বল্প সুদে ঋন চেয়েছেন।


কোটালীপাড়া উপজেলার কুরপালা গ্রামের মহাজন মোঃ রাসেল ব্যাপারী, তাড়াশী গ্রামের কালাম ও নাসির ব্যাপারী বলেন, আমরা ৫০ ভাঙ্গারী মহাজন বরিশাল, ভোলা,পিরোজপুর, নড়াইল, বাগেরহাট,বরগুনা, ঝালকাঠিসহ দক্ষিাণাঞ্চলে নৌকায় করে ভাঙ্গারী মাল ক্রয় করি। দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোর গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে ঘুরে আমাদের ফেরিওয়ালারা ভাঙ্গারী লোহা লক্কর, প্লাষ্টিক সামগ্রী কিনে এনে আমাদের নৌকায় জমা দেন। এ জন্য আমরা ৩ হাজার ফেরিওয়ালার প্রত্যেককে ২ থেকে ৩ লাখ টাকা দাদন দিয়েছি। এ টাকা তারা সংসারের পেছনে খরচ করে ফেলেছে। আমরা ঢাকার ভাঙ্গারী ব্যবসায়ীদের কাছে এসব পন্য সরবরাহ করতাম। করোনর মধ্যে ব্যবসা বন্ধ হয়েছে। বিশাল পরিমান ফেরিওয়ালা ও আমাদের সংসার চালাতেই আমরা পুঁজি সংকটে পড়েছি। নতুন করে ব্যবসা শুরু করতে পারছিনা। সরকার স্বল্প সুদে ঋনের ব্যবস্থা করলে আমরা ফের এ ব্যবসা শুরু করতে পারবো। এটি করা হলে এ ব্যবসার সাথে যুক্ত প্রায় ৪ হাজার পরিবার বেঁচে যাবে।


ফেরিওয়ালা ফরিদ শেখ, মাসুম মোল্লা ও রইচ মোল্লা বলেন, আমরা মহাজনদের কাছ থেকে ২ থেকে ৩ লাখ টাকা দাদন নিয়েছি। এ জন্য আমরা গ্রামে গ্রামে ঘুরে বিভিন্ন পণ্যের বিনিময়ে ভাঙ্গারী সংগ্রহ করে ব্যাপারীদের কাছে এনে দেই। আমরা ব্যাপারীদের কাজ থেকে যে টাকা নিয়েছি তাহা আমরা সন্তানদের লেখাপড়া, জমিক্রয় ও সংসার চালাতে ব্যয় করেছি। আমাদের কাছে কোন নগদ টাকা নেই। এছাড়া এ কাজের জন্য আমরা পারিশ্রমিকও পেতাম। করোনার মধ্যে ব্যবসা বন্ধ তাই পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। ব্যবসা শুরু না হলে আমাদের খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাতে হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মাহফুজুর রহমান কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমি আমার উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে মানবিক এই বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করবো।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

পুরোনো সংবাদ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
© All rights reserved © Kotalipara News
Developed by : Kotalipara News
error: Content is protected !!