কোটালীপাড়া প্রতিনিধি :
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় কাঠমিস্ত্রী কমলেশ বাড়ৈ হত্যা মামলার প্রধান আসামী মন্মথ বাড়ৈকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত মঙ্গলবার রাতে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ মাদারীপুর জেলার রাজৈর থেকে মন্মথ বাড়ৈকে গ্রেফতার করে।
এর আগে মঙ্গলবার বিকালে নিখোঁজের ৩মাস পর মাটির নিচ থেকে কাঠমিস্ত্রী কমলেশ বাড়ৈর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ওই দিন বিকালে নিজ বাড়ী থেকে পুলিশ কাঠমিস্ত্রীর স্ত্রী সূবর্ণাকে আটক করে।সূবর্ণার পরকীয়ার জেরে এ হত্যা কান্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কাঠমিস্ত্রী কমলেশ বাড়ৈ (৪৫) উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের তালপুকুরিয়া গ্রামের কেনারাম বাড়ৈর ছেলে।
কমলেশ বাড়ৈর ভাই রবেণ বাড়ৈ জানান, কমলেশের স্ত্রী সুবর্ণা বাড়ৈ (৪০) এর সাথে প্রতিবেশী মাছের ঘের ব্যবসায়ী মম্মথ বাড়ৈর দীঘদিন ধরে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝড়গা ঝাটি ও মনোমালিন্য চলতো। এ ঘটনায় এলাকায় একাধিকবার সালিশ বৈঠক করা হয়। কিন্তু এতেও কোন কাজ হয়নি। সুবর্ণা পরকীয়া প্রেমিক দিয়ে কমলেশকে হত্যার পরিকল্পনা করে। ফেব্রুয়ারী মাসের শেষের দিকে কমলেশ নিখোঁজ হয়। কমলেশের নিখোঁজের ঘটনায় গত ১০ মার্চ কোটালীপাড়া থানায় একটি জিডি করা হয়। জিডির সূত্রধরে পুলিশ তদন্তে নামে। গ্রামের বিভিন্ন জনকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে। গত মঙ্গলবার মম্মথর মাছের ঘেরপাড়ে গ্রামের বিপুল বাড়ৈ নামে এক লোক ঘাস কাটতে গিয়ে মাটি খুঁড়া দেখতে পান। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি খুঁড়ে কমলেশের লাশ উদ্ধার করে।
তিনি আরোও জানান, সুবর্ণা পরকীয়া প্রেমিক মম্মথর সহযোগিতায় কমলেশকে নির্মমভাবে হত্যা করে লাশ ঘেরপাড়ে মাটি চাপা দিয়ে রাখে।
কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ লুৎফর রহমান বলেন,লাশ উদ্ধারের পর কমলেশ বাড়ৈর ভাই রবেন বাড়ৈ বাদী হয়ে মন্মথ ও সূবর্ণাকে আসামী করে কোটালীপাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।আমরা মঙ্গল বিকালে সূবর্ণাকে ও রাতে মন্মথকে গ্রেফতার করি।গ্রেফতারকৃত মন্মথ ও সূবর্ণা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কমলেশকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
Leave a Reply