আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল :
রহস্যজনক কারণে পরিবারের সদস্যরা নিহত কলেজ ছাত্রীর লাশ লুকিয়ে দাফন করতে অন্য জেলায় নিলেও থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে ওই ছাত্রীর লাশ দাফন করতে পারেনি তারা। পুলিশ নিহত শারমিন আক্তার (১৭) লাশ উদ্ধার করে সোমবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল মর্গে প্রেরণ করেছে। ঘটনাটি বরিশালের গৌরনদী উপজেলার টরকী বন্দর এলাকার।
টরকী বন্দরের কাঠ ব্যবসায়ী খোকন সরদার জানান, তার মেয়ে শারমিন আক্তার গৌরনদী গালর্স স্কুল এন্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্রী। তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে তার স্ত্রী শনিবার রাতে শারমিনকে গালমন্দ করে। এতে অভিমান করে রোববার দুপুরে নিজ বাসার শয়ন কক্ষের ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে শারমিন আত্মহত্যা করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত একবছর ধরে শারমিন জনৈক এক যুবকের সাথে প্রেমর সম্পর্কে জড়িয়ে পরে। বিষয়টি শারমিনের পরিবারের সদস্যরা জানতে পেরে ওই সর্ম্পক ছিন্ন করতে শারমিনকে বিভিন্ন ধরনের চাঁপ প্রয়োগ করে আসছিলো।
গৌরনদী মডেল থানার এসআই সাধন কুমার মন্ডল জানান, ঘটনার পর অতিগোপনে বাসায় তালা ঝুলিয়ে শারমিনের লাশ তার পরিবারের সদস্যরা দাফনের জন্য গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার কয়ারিয়া গ্রামে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত শারমিনের শয়ন কক্ষে তল্লাশী চালিয়ে বেশ কিছু আপত্তিকর আলামত জব্দ করেছে। পরবর্তীতে রোববার রাতে নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। সোমবার সকালে শারমিনের লাশের ময়না তদন্তের জন্য বরিশাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও এসআই সাধন উল্লেখ করেন।
অপরদিকে ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহত শারমিনের লাশ থানা থেকে ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য রোববার রাতভর স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নানা অপচেষ্ঠা চলে। এতে করে শারমিন আত্মহত্যা করেছে নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে এনিয়ে থানা পুলিশের মধ্যে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
Leave a Reply