আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল :
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার পিতা-পুত্র জোড়া মার্ডারের ঘটনায় জড়িত তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত বাদশা হাওলাদার, শাহীন খাঁ ও ছানি হাওলাদার বাকেরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর পুলিশ লাইনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আসামীদের গ্রেফতার ও ঘটনার তথ্য প্রদান করেন জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, জেলা পুলিশের তথ্য-প্রযুক্তির বিশেষজ্ঞ টিম মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে হত্যাকারীদের অবস্থান নির্ধারন করেন। পরবর্তীতে ঢাকা জেলা পুলিশের সহায়তায় ৬ জুলাই সদরঘাট এলাকার তেলঘাট থেকে ছিনতাই করা ট্রলারসহ তাদেরকে আটক করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও জানান, গ্রেফতারের পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করে ঘটনার লোমহর্ষক বর্নানা দিয়েছে আসামীরা। পূর্বপরিকল্পিত ভাবে ট্রলার ছিনতাই করার উদ্দেশ্যে মাছের চাঁটাই বিক্রেতা পিতা-পুত্রকে হত্যা করে আসামীরা। ঘটনার ৪/৫ দিন পূর্বে মাছের চাঁটাই বিক্রেতা পিতা-পুত্রের উপর নজর রাখছিলো খুনিরা। ঘটনার দিন নিহত পিতা-পুত্র পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার কলারদোয়ানিয়া গ্রাম থেকে মাছ ধরার চাঁটাই তৈরি করে বাকেরগঞ্জে বিক্রি করতে আসেন। এসময় চাই ক্রয়ের কথা বলে ট্রলারে উঠে খুনিরা।
পরবর্তীতে চরলক্ষিপাশা নামক স্থানে টাকা দেবার কথা বলে সেখানে নিয়ে চাঁটাইগুলো নামাতে বলে। টাকা দেবার কথা বলে প্রথমে পুত্র ইয়াসিনকে একটু দূরে একটি বাগানে নিয়ে যায় আসামীরা। সেখানে ১নং আসামী বাদশা পিঁছন দিক থেকে ইয়াসিনের গলা কেটে ফেলে। অন্য দুই আসামী দুই পা চেঁপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরবর্তীতে খুনিরা ট্রলারে এসে পিতা হেলালকে ধাক্কা দিয়ে পানিতে ফেলে দেয় এবং ১নং আসামী তার পেটের দু-পাশে উপযুপরি ছুরি বসিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। এঘটনায় ৩ জুলাই সন্ধ্যা সাতটার দিকে বাকেরগঞ্জের কবাই ইউনিয়নের চর ল²ীপাশা পান্ডব নদীর তীরে একটি বাগান থেকে পুত্র ইয়ামিন হাওলাদার (২০) এবং ৪ জুলাই সকাল আটটার দিকে একই স্থানে নদীর তীরবর্তী ভাসমান অবস্থায় পিতা হেলাল উদ্দিন (৫৫) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
Leave a Reply