কোটালীপাড়া প্রতিনিধি :
গোপালগঞ্জে কোটালীপাড়ায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে পিটিয়ে, শরীরে গরম পানি ঢেলে ও শুকনা মরিচের গুড়া ছিটিয়ে সৎমা কুলসুম বেগমকে (৬০) নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।
কোটালীপাড়া উপজেলার রাধাগঞ্জ ইউনিয়নের রাজিন্দারপাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিতে কুলসুম বেগম খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারাযান। এ ঘটনায় গতকাল রাতে কোটালীপাড়ায় থানায় ৭ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে ৪ নারীকে গ্রেফতার করেছে।
কুলসুম বেগম কোটালীপাড়া উপজেলার রাজিন্দারপাড় গ্রামের সবর আলী সিকদারের দ্বিতীয় স্ত্রী।
কুলসুম বেগমের ভাই স্কুল শিক্ষক কালাম ফকির জানান, সৎ ছেলেদের সাথে জমিজমা নিয়ে কলসুমের বিরোধ চলে অসিছিলো। কুলসুমকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার জন্য শনিবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে সৎ ছেলে আলাউদ্দিন সিকদার তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম তার মেয়ে লিমা সিকদার আলাউদ্দিনের ভাই রিপন সিকদার কুলসুমের ওপর হামলা করে। তাকে পিটিয়ে মাথা ফাঁটিয়ে গায়ে গরমপানি ঢেলে ও শুকনা মরিচের গুড়া ছিটিয়ে দেয়। কুলসুমের ২ ছেলে ও ছেলের বউ তাকে উদ্ধারের জন্য এগিয়ে আসলে তাদেরও মারপিট করা হয়। পরে তাদের শরীরেও গরমপানি ঢেলে মরিচেরগুড়া ছিটিয়ে দেয়া হয়। ওই স্কুল শিক্ষক আরো জানান, তার বোন কলসুমকে উদ্ধার করে প্রথম কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পরে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল ও বিকেলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত সাড়ে ৮ টার দিকে সে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। আমরা এ নির্মম হত্যাকান্ডের বিচারচাই।
কোটালীপাড়া থানার ওসি শেখ লুৎফর রহমান বলেন, এ ঘটনায় শনিবার রাতেই ৭ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। রাতেই অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত ৪ নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। প্রাথমিক তদন্তে ধারনা করা হচ্ছে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।
Leave a Reply